English

22 C
Dhaka
রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
- Advertisement -

দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন: তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত দেশ

- Advertisements -
সারা দেশেই তাপপ্রবাহ চলছে। কোথাও কোথাও চলছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোকে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ডায়রিয়া, কলেরা, জ্বর, সর্দিকাশি, হাঁপানি ও অন্যান্য অসুস্থতা বাড়ছে।
হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। কোথাও কোথাও রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিন-চার গুণ হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। দুর্ঘটনাও বাড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ এবং আবহাওয়াসংক্রান্ত অন্যান্য সূত্র থেকে জানা যায়, মে মাসের ২ তারিখে বা তার পরে বৃষ্টি হতে পারে। এর অর্থ আরো কয়েক দিন এমন দুর্বিষহ অবস্থা চলবে।
এরই মধ্যে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
অতীতে কোনো কোনো বছর এমন তাপমাত্রা উঠেছে, কিন্তু গত প্রায় অর্ধশতাব্দীতে এপ্রিল মাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে এমন তীব্র তাপপ্রবাহ চলেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আবহাওয়া ক্রমেই চরমভাবাপন্ন হচ্ছে। এগুলো তারই আলামত। কখনো দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলবে। তীব্র খরা আঘাত হানবে।
আবার কখনো দীর্ঘ সময় ধরে অতিবৃষ্টি চলতে থাকবে। বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হবে। ঝড়-ঝঞ্ঝা-জলোচ্ছ্বাসের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়বে। নানাভাবেই বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ক্রমেই দেশে তাপপ্রবাহ বিস্তৃত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি) বয়ে গেছে। তীব্র তাপপ্রবাহ অর্থাৎ ৪০ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা ছিল অন্তত ১২ জেলায়। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে অন্তত ২১ জেলার ওপর দিয়ে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। পারদ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে।অতিরিক্ত তাপের ফলে মানুষের শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। পিপাসা মেটাতে যেখানে-সেখানে পানি পানে বাধ্য হয়। এর ফলে এ সময় মানুষ ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। উদ্বেগজনক খবর হলো, যে কলেরাকে আমরা বিদায় করতে সক্ষম হয়েছিলাম, তা-ও দ্রুত ফিরে আসছে। আর এই উচ্চ তাপমাত্রায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা।

এ ছাড়া বৃদ্ধ কিংবা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ; যেমন—হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, ক্যান্সারের মতো রোগ রয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। ওষুধ-স্যালাইনের সরবরাহ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কিছু স্থায়ী উপশম ব্যবস্থার প্রতিও নজর দিতে হবে। ঢাকার অনেক রাস্তায় গরমে অতিষ্ঠ মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার বা গাছতলায় বসার মতো সুযোগও নেই। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা তো নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্যও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন