প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কক্সবাজার ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতেও বন্ধ ছিল দীঘিনালার সঙ্গে সাজেক ও লংগদুর যোগাযোগ। দুই দিন পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কক্সবাজারে গত পাঁচ দিনের বর্ষণে জেলার ৯টি উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ডুবে, পাহাড়ধস ও সাপের কামড়ে এ পর্যন্ত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
টানা ভারি বর্ষণে সড়ক ও জনপথের ৫৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহাসড়ক, সড়ক, কাঁচা রাস্তা, আবার কোথাও কালভার্ট ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। অনেক স্থানে বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বেশির ভাগ এলাকা এখনো পানিতে ডুবে আছে। বান্দরবান শহরের বেশির ভাগ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও কয়েকটি এলাকা পাঁচ থেকে সাত ফুট পানির নিচে রয়েছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি না হয়েও মেরুং এলাকার পানি বেড়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বন্যা ও জলাবদ্ধতা হবে—এটাই এখন নিয়তি হয়ে দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি যাতে কোনো বাধা ছাড়াই সাগরে নেমে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবছর পলি জমে যেসব নদীর গভীরতা কমছে সেগুলো খননের কোনো বিকল্প নেই। তবে আপাতত আমাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিয়ে দাঁড়াতে হবে বন্যার্তদের পাশে। নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা।