English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

দালালমুক্ত করুন: কুমেক হাসপাতাল

- Advertisements -
দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের প্রধান ভরসা এখনো সরকারি হাসপাতাল। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে রাজধানীতে এসে অপেক্ষাকৃত উন্নত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাদের গন্তব্য বড়জোর জেলা হাসপাতাল কিংবা জেলায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থাকলে সে পর্যন্ত। কিন্তু এখানে এসেও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হয় না।

এসব হাসপাতালে থাকা দালাল ও প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে তাদের সর্বস্বান্ত হতে হয়। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে দালালদের যথেচ্ছাচার। ফলে সেবাপ্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রাপ্তি থেকে।জানা যায়, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৫০০ হলেও গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে এক হাজার ১০০ কিংবা তারও বেশি।

এত বেশি রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দিতে হয়। তারা প্রায়শ হাসপাতালের ইউনিফর্ম বা ব্যাজ ধারণ করেন না। এই সুযোগে দালালরা হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা রোগীদের উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে আশপাশের ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
দালালদের উৎপাত সারা হাসপাতালে থাকলেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ক্যাজুয়েলটি বিভাগে সবচেয়ে বেশি। হাসপাতাল প্রশাসন জানায় তারা চেষ্টা করছে হাসপাতাল দালালমুক্ত করার জন্য, কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা পুরোপুরি সফল হয়নি। রোগী ভাগিয়ে নেওয়া ছাড়াও প্রতিবেদনে হাসপাতালের কিছু অনিয়মের কথা উঠে এসেছে।
এমনকি রোগীদের যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয় তা নিয়েও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধ সাদা কাগজে লিখে রোগীকে দেওয়া হয়।

তাতে না থাকে কোনো চিকিৎসকের নাম, না থাকে কোনো সিলমোহর।

কুমিল্লা জেলার জনসংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও প্রতিদিন রোগীরা সেবা নিতে আসে কুমেক হাসপাতালে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হাসপাতালটিতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন ছিল, তার অনেক ঘাটতি রয়েছে। ফলে হাসপাতালের আশপাশে চিকিৎসাসেবার নামে ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেগুলোর সেবার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এসব প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেশির ভাগেরই নেই বৈধ কাগজপত্র। এসব সেন্টার থেকে দেওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রতিবেদনের একটি বড় অংশই ভুয়া এবং এগুলোতে চিকিৎসকের ভুয়া নাম ব্যবহার করা হয়। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীরা প্রতারিত হয়।

আমরা আশা করি, কুমেক হাসপাতাল অবিলম্বে দালালমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি অবৈধ ও মানহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন