এর প্রধান কারণ, তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনার অভাব। এ অবস্থায় আবারও এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, গত ১৫ বছরে বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদেশে পিএইচডি করেছেন ১৩ জন, মাস্টার ডিগ্রি নিয়েছেন ৮৭৪ জন, ডিপ্লোমা করেছেন ১৭৬ জন, রিফ্রেশার্স কোর্স করেছেন ৪৪ জন সচিব এবং সংক্ষিপ্ত কোর্স করেছেন এক হাজার ২৫২ জন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মকর্তা যুক্তরাজ্যের হার্ভার্ড, ডিউক, আইটিসি-আইএলও, ম্যাকক্যারি, কার্টিন, সাসেক্স, অক্সফোর্ড ও বার্মিংহাম এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, অস্ট্রেলিয়ার নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
এমন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। একজন প্রশিক্ষণ বা ডিগ্রি নিয়েছেন পরিবেশ বিষয়ে, কিন্তু তাঁকে হয়তো পদায়ন করা হয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়ে, কৃষিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হয়তো পাঠানো হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর জ্ঞান অর্জনকে কাজে লাগানো না গেলে কেবল প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।
আমরা মনে করি, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণকে সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রশাসনকে ক্রমান্বয়ে আরো দক্ষ ও সুসংহত করতে হবে।