বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। আর এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের উপকূলেও। স্বাভাবিক জোয়ারেই এখন অনেক বেশি এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। এর ওপর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তো আছেই।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণে যথাযথ মান রক্ষিত হচ্ছে না এবং নির্মাণকাজের তদারকিও সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ ছাড়া বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনায়ও ত্রুটি ছিল। নদীর ভাঙন ক্রমেই বাঁধের কাছাকাছি চলে আসছে। তাই স্থানীয় লোকজন মনে করে, দ্রুত নদীশাসন করা না হলে এই বাঁধ টিকিয়ে রাখা যাবে না।উপকূলীয় এলাকায় গৃহীত অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতিও ভালো নয়। একের পর এক সময় বাড়ানো হচ্ছে। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এসব নিয়ে এর মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি, অনুমিত হিসাব কমিটি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। একেকটি প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সেই প্রকল্প যদি জনগণের উপকারে না আসে, তাহলে এই ব্যয় করে লাভ কী? কেন কাজের ঠিকমতো তদারকি হবে না? হস্তান্তরের আগেই যদি বাঁধে ভাঙন শুরু হয়, তাহলে সেই বাঁধ কত দিন টিকবে? আমরা চাই, শরণখোলায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোথায় কোথায় ত্রুটি হয়েছে, তা খুঁজে বের করা হোক এবং দ্রুত টেকসই উপায়ে বাঁধ মেরামত করা হোক।