প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ধসের মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে বড় দুটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ ও ২০১৭ সালে। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে মারা যায় ১২৭ জন। আর ২০১৭ সালের ঘটনায় চার সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬৮ জনের অকালমৃত্যু হয়। অপর পার্বত্য জেলা শহর রাঙামাটিতে ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১২০ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া প্রতিবছর পাহাড়ধসের অনেক ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন আগেও কক্সবাজারে একাধিক পাহাড়ধসে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। গত মাসে সিলেটেও দুটি পাহাড়ধসে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি বড় পাহাড়ধসের পরই কমিটি গঠন করা হয়। সুপারিশ আসে। বাস্তবে সেসব সুপারিশ ফাইলচাপাই থেকে যায়। এর আগে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ৫৫৮।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্য মতে, সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ১৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ১৭৫ আর ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩৮৩। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে রাঙামাটিসহ অন্যান্য শহরেও। অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু সহায়-সম্পদ ফেলে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী হয় না।
জানা যায়, এক শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় কিছু প্রভাবশালী লোক পাহাড়ে কিংবা পাহাড়ের নিচে খুপরি ঘর তৈরি করে ভাড়া দেয়। ভাড়া কম হওয়ায় দরিদ্র লোকজন সেখানে গিয়ে ভিড় জমায়।
প্রশাসন দীর্ঘদিনেও এই অবৈধ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে পারেনি। বিভিন্ন কমিটির অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে, পাহাড়ধসে করুণ মৃত্যুর জন্য মূলত দায়ী এই অবৈধ বসতি স্থাপন। আমরা চাই, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি প্রদত্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হোক।