English

29 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫
- Advertisement -

চীনে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে: প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে আশাবাদ

- Advertisements -

চীন এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক পরাশক্তি। প্রযুক্তি, সহজলভ্য পণ্য ও সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার অদম্য এক শক্তি নিয়ে সারা বিশ্বে বাণিজ্যের এক অপ্রতিরোধ্য পসরা সাজিয়ে বসেছে দেশটি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সবটুকু সুফল তারা ঘরে তুলতে মরিয়া।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক সহযোগী।

তবে তা অসম। আমরা বিপুল পণ্য আমদানি করি দেশটি থেকে, কিন্তু রপ্তানি করি খুবই সামান্য। এই অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিভাবে আমাদের অনুকূলে আনা যায়, তা নিয়ে অনেক বছর ধরেই বিভিন্ন স্তরে কথা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন দেশটিতে সফর করছেন।
এটি একটি বড় সুযোগ বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও চীনের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ড. ইউনূসের বিশ্বজোড়া যে খ্যাতি ও ইতিবাচক ইমেজ, সেটি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়িয়ে কিছুটা হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে লাভজনক করা যায়।
চীন-বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ কোটি মানুষের এই দেশে বাংলাদেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পরও চীনে রপ্তানি বাড়াতে পারছে না বাংলাদেশ।
উল্টো বেড়েই চলেছে বাণিজ্য ঘাটতি। প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফরে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশে চীনের প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে।
এটি ১০ গুণ বাড়ানো যেতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা আরো বলছেন, চীনের আমদানি বাজেটের ১ শতাংশও যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলেও বাংলাদেশ বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারবে। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে প্রয়োজন রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধি। তা ছাড়া চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় চীন। ২০২২ সালে এসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যকে দেওয়া হয় এই সুবিধা। ২০২৩ সালে যুক্ত হয় আরো ৩৮৩টি পণ্য। ২০২৩ সালের আগস্টে নতুন করে ১ শতাংশ আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শতভাগ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় চীনা সরকার।

শতভাগ শুল্কছাড় পেয়েও বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি বাড়াতে পারছে না কেন—এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। ড. ইউনূসের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

চীনের বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি হারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে, যাতে তাঁদের বিনিয়োগ করা কারখানায় উৎপাদিত পণ্য চীনে সহজে রপ্তানি করা যায়। পাশাপাশি দেশেও বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ড. ইউনূসের এই সফরের মাধ্যমে এ সুফল যেন নেওয়া যায় নীতিনির্ধারকদের সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন