গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। ঢাকায় কিংবা অন্যান্য বড় শহরে রোগী নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রায় অসম্ভব। এখনো তাদের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু অভিযোগ আছে, সেখানেও তারা উপযুক্ত চিকিৎসা পায় না।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০ শয্যার জন্য শুধু প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। জনবল বা অন্যান্য সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না। ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি), কার্ডিওগ্রাফার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (নাক, কান, গলা), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থো), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানেসথেটিকস, মেডিক্যাল অফিসার, হেলথ এডুকেটর, প্যাথলজিস্টের পদ রয়েছে।
বাস্তবে সব পদই শূন্য। নার্স টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান। এমনকি ৩১ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও নেই হাসপাতালটিতে। একটিমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স ছিল, তাও বিকল দীর্ঘদিন ধরে। অথচ হাসপাতালটিতে শুধু বকশীগঞ্জ নয়, ভৌগোলিক কারণে আশপাশের তিনটি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও চরের লোকজন চিকিৎসা নিতে আসে।
সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে কী করে? আমরা আশা করি, বকশীগঞ্জ হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে লোকবল নিয়োগসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।