English

19 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরবস্থা

- Advertisements -

গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। ঢাকায় কিংবা অন্যান্য বড় শহরে রোগী নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রায় অসম্ভব। এখনো তাদের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু অভিযোগ আছে, সেখানেও তারা উপযুক্ত চিকিৎসা পায় না।

চিকিৎসক নেই, ওষুধ নেই, রোগ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, অ্যাম্বুল্যান্স বিকল হয়ে আছে—এ রকম আরো কত কী?  প্রকাশিত খবরে দেখা যায় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তেমনি দুর্দশার চিত্র। সেখানে রোগীদের ইনজেকশন দেওয়া, কাটাছেঁড়া করা, সেলাই, ড্রেসিং—সবই করতে হয় ওয়ার্ড বয়দের।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ সব ধরনের জনবলেরই অভাব রয়েছে। এই চিত্র শুধু বকশীগঞ্জের নয়, সারা দেশেরই।
লোকবলের অভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এক্স-রে মেশিনসহ রোগ পরীক্ষার অন্যান্য যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর অচল পড়ে থাকে। অ্যাম্বুল্যান্স বিকল হয়ে থাকে। সেগুলো সারানো হয় না।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই। কিন্তু আট বছরে কেবল একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয়নি।
৫০ শয্যা তো দূরের কথা, আগের ৩১ শয্যার জন্য যে জনবল প্রয়োজন, তাও নেই এই হাসপাতালে। রোগ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগীদের যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০ শয্যার জন্য শুধু প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। জনবল বা অন্যান্য সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না। ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি), কার্ডিওগ্রাফার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (নাক, কান, গলা), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থো), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানেসথেটিকস, মেডিক্যাল অফিসার, হেলথ এডুকেটর, প্যাথলজিস্টের পদ রয়েছে।
বাস্তবে সব পদই শূন্য। নার্স টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান। এমনকি ৩১ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও নেই হাসপাতালটিতে। একটিমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স ছিল, তাও বিকল দীর্ঘদিন ধরে। অথচ হাসপাতালটিতে শুধু বকশীগঞ্জ নয়, ভৌগোলিক কারণে আশপাশের তিনটি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও চরের লোকজন চিকিৎসা নিতে আসে।
সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে কী করে? আমরা আশা করি, বকশীগঞ্জ হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে লোকবল নিয়োগসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন