ভোলার মনপুরা উপজেলা। এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল। দেড় লাখ মানুষের বসবাস এখানে। বেশির ভাগ মানুষই অত্যন্ত দরিদ্র।
ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শুধু অনুমানের ওপর চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। এলাকার দরিদ্র মানুষের পক্ষে জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়াও সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের সামনে উপায় কী?
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ২০১৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে নবনির্মিত তিনতলা ভবনটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ৫০ শয্যার জন্য আর্থিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের ১০টি পদের মধ্যে পাঁচটিপদই শূন্য।
সিনিয়র স্টাফ নার্স ও সহকারী নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিপদই শূন্য। পাঁচ সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদের মধ্যে আছেন মাত্র একজন। গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক পদই শূন্য। জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসংক্রান্ত অনেক যন্ত্রপাতি দিনে দিনে অকেজো হয়ে পড়ছে।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকি। হাসপাতালটিতে জনবল ও প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে সত্যি, তবে প্রধান সমস্যা বিদ্যুতের।’ তিনি জানান, দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসাসেবা দিতে অসুবিধা হয়। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমন দুরবস্থার কথা কি ভাবা যায়!
দ্বীপ উপজেলা মনপুরার দরিদ্র অধিবাসীর প্রতি এমন অবহেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা আশা করি, অতি দ্রুত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।