English

19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

চিকিৎসার সুযোগ বাড়ান: উদ্বেগজনক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার

- Advertisements -
দেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং নতুন-পুরনো রোগী মিলিয়ে প্রতিবছর মারা যান প্রায় সাত হাজার নারী। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে ৯০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হতে পারে। পরিতাপের বিষয়, সময়মতো চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ায় এবং স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় তিন-চতুর্থাংশ রোগীরই স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে রোগের শেষ ধাপে, যখন চিকিৎসকদের প্রায় কিছুই করার থাকে না।
আরো দুঃখজনক হলো যে এই অবস্থার পরিবর্তনে পর্যাপ্ত উদ্যোগও দেখা যায় না।
স্তন ক্যান্সার শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। উন্নত দেশগুলোতে এ ক্ষেত্রে জাতীয় ভিত্তিতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা পড়ে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য হওয়ার হারও অনেক বেশি।
বাংলাদেশেও সীমিত পরিসরে স্ক্রিনিং করা হয়। সেটি এতই সীমিত যে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার মিলিয়ে ২৪ লাখ নারীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ২০ বছরের পর থেকেই নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঝুঁকি থাকে শেষ বয়স পর্যন্ত।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ৪০ থেকে ৪৯ বছর পর্যন্ত বয়সসীমার নারীরা। সচেতনতার অভাবও স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। কোনো নারীর স্তনে গুটি হলে সেটি বিশেষ পদ্ধতিতে নিজেই পরীক্ষা করে নির্ণয় করতে পারেন।  বেশির ভাগ নারী এ ব্যাপারে সচেতন নন। গুটি পাওয়া গেলে খুব সহজ পরীক্ষায়ই জানা যাবে সেটি ক্যান্সারজনিত গুটি কিনা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। অথচ তাদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র ২২৮ জন। সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি। দরিদ্র রোগীদের পক্ষে সেই ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয় না। সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আছে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও অনিয়ম। বিশেষায়িত হাসপাতালে ভোর ৪টায় লাইন দিয়েও অনেক রোগী টিকিট পায় না। টিকিট কিনতে হয় টাকা খরচ করে। পিইটি সিটি স্ক্যান, এমআরআইসহ অনেক আধুনিক যন্ত্রের প্রয়োজন হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায়। সেগুলোও কম আছে।

সরকারি হাসপাতালে পিইটি সিটি স্ক্যান মেশিনের সিরিয়াল পেতে চলে যায় একাধিক মাস। দেশে যেখানে কমপক্ষে ৩০০টি রেডিওথেরাপি মেশিন প্রয়োজন, সেখানে আছে মাত্র ৩৭টি, তা-ও সব কটি সব সময় কর্মক্ষম থাকে না।

স্তন ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার মোকাবেলায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় ভিত্তিতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তত জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির সুযোগ রাখতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন