English

23 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ান: সংঘবদ্ধ অপহরণকারীচক্র সক্রিয়

- Advertisements -
মাত্র কয়েক দিন আগে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। একটি গতিশীল মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। দেশে কিছুদিন আগেও যে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল, তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গেছে। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু অপরাধীচক্র নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
কোথাও কোথাও অপরাধ তৎপরতা বেড়ে গেছে। অপহরণের ঘটনা ঘটছে। কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করে বলা যেতে পারে অপহরণকারীরা বেপরোয়া। তারা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশে নানা ছদ্মবেশে অনেক সংঘবদ্ধ চক্র অপহরণের মতো অপরাধে সক্রিয়। তাদের ওপর নজরদারির পাশাপাশি গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র আরো জানিয়েছে, দেশে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ পেয়েছে তারা। র‌্যাব সূত্র বলছে, অপহরণের শিকার ৬৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় ৬৯৯ জনকে।
তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে। ডিএমপির গত বছরের অপরাধবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকায় অপহরণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
অপহরণকারীচক্র রাজধানীতেও সক্রিয়। গত বুধবার রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হিমেলকে অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।
পুলিশ বলছে, সারা দেশে অপহরণকারীচক্রের সদস্য রয়েছে। তারা বিভিন্ন পেশার মানুষকে অপহরণ করে। অপহরণকারীচক্রের অনেক সদস্যই একাধিকবার আটক হয়েছে। কেউ কেউ সাজা ভোগ করেছে।যেমন—হিমেল অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের একজনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অপহরণ, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন, ডাকাতি-ছিনতাই, খুনসহ ১৪টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আট বছরের বেশি সময় কারাভোগও করেছে সে।

হিমেল অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের আরেকজন পেশায় অটোচালক। অস্ত্র, ডাকাতিসহ দুটি মামলায় ছয় বছরের বেশি সময় কারাভোগ করে সে।

ভিন্ন পেশার আড়ালে সংঘবদ্ধ অপহরণকারীচক্র দেশজুড়েই সক্রিয়। অন্যান্য অপরাধেও জড়িত তারা। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আতঙ্কিত। সেই আতঙ্ক আরো বেড়ে যাচ্ছে, যখন কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কিছু সদস্যকেও দেখা যায় অপহরণকারীর ভূমিকায়।

যেমন—মাসখানেক আগে রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায় করে কয়েক ব্যক্তি, যাদের মধ্যে একটি বাহিনীর সদস্যও ছিলেন।

এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আরো সক্রিয় হতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন