English

32 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

গতিশীল করতে পদক্ষেপ নিন: স্বাস্থ্যসেবা খাতে অচলাবস্থা

- Advertisements -
দেশে স্বাস্থ্যসেবার মান কখনোই খুব একটা উন্নত ছিল না। দেশের বেশির ভাগ মানুষ সেবার জন্য ভিড় করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এগুলোতে সমন্বিত পরিকল্পনা, তদারকি, ধারাবাহিকতা ও ব্যবস্থাপনার অভাব প্রকট ছিল। তার ওপর ছিল দলবাজি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই খাতের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদত্যাগের দাবি নিয়ে অস্থিরতা শেষ না হতেই পুনরায় শুরু হয়েছে বঞ্চিতদের প্রাপ্য ফিরে পাওয়া নিয়ে অস্থিরতা। চলছে মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন।
অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ প্রতিরোধের কারণেও নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকে কাজ করতে পারছেন না। আর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বা স্বাচিপের খবরদারি থামতে না থামতেই শুরু হয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ড্যাবের আধিপত্য। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতের সামগ্রিক কার্যক্রমই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

চিকিৎসাসেবার গুণগত মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করাসহ নানা বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে।

তাতে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক এম এ ফয়েজকে। কিন্তু সম্প্রতি তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে। কিন্তু বাধার মুখে তিনি অফিস করতে পারেননি। পরে তাঁকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক করা হয় অধ্যাপক নাজমুল হোসেনকে।
তিনি একই সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরেরও মহাপরিচালক। গত ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচ) পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক পদে বদলি করা হয়।
কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। পরে তাঁদের ওএসডি করা হয়। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজেও চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন ও পদত্যাগের হিড়িক। স্বাচিপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন এমন অনেক চিকিৎসকও এখন পর্যন্ত নিজ নিজ কাজে যোগ দিতে পারছেন না। সব মিলিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের স্বাভাবিকতা অনেকাংশেই ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন, জীবনযাত্রার ধরনসহ নানা কারণে রোগব্যাধির প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হওয়ার বদলে যদি আরো অবনতি হতে থাকে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমরা আশা করি, বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা দূর করে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন