জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। নোনা পানির অনুপ্রবেশ ক্রমেই বাড়তে থাকায় চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপকূলীয় জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্রমেই বেশি করে মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। বড় শহরগুলোতে এসে আশ্রয় নিচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬০ লাখের বেশি মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তু হিসেবে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রায় দুই কোটি শিশু প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে ধরনের সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল তা থেকে বঞ্চিত হয়েই চলেছে।
আমরা আশা করি, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় কপ২৯ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিলসহ অন্যান্য তহবিল থেকে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হোক। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং পরিবেশসম্মত শক্তির ব্যবহার বাড়াতে বিশ্বকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।