English

22 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

কার্যকর পদক্ষেপ নিন: চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন

- Advertisements -
চিকিৎসা বিষয়ে শিক্ষা আর দশটি সাধারণ বিষয়ে শিক্ষার মতো নয়। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। চিকিৎসকের সামান্য ভুলেও একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে এবং এমন অভিযোগ পাওয়াও যায়। অথচ দেশের চিকিৎসা শিক্ষার মান নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই।
বলা হয়ে থাকেবেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়গুলোর একটি বড় অংশই শিক্ষার নামে সনদ বাণিজ্য করে। ফলে দেশে সনদধারী চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লেও মানসম্পন্ন চিকিৎসকের সংখ্যা খুব একটা বাড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গত মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে জানিয়েছেনদেশে ৭২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় চারটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং দুটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
সাধারণভাবে দেশের চিকিৎসাসেবা নিয়েই মানুষের আস্থার অভাব রয়েছে। যাদের সংগতি আছে তাদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যায়। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ মানুষের সেই সংগতি নেই। তাদের কি মানসম্পন্ন চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নেইশুধু চিকিৎসক নয়, মানসম্পন্ন টেকনিশিয়ানস্বাস্থ্যকর্মীরও অভাব রয়েছে।
আর সেই অভাব পূরণে রাষ্ট্রের উপযুক্ত উদ্যোগ কোথায়দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তাদের কাজ নিয়েও অতীতে অনেক অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন নিজেও একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসার পর সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও অনেক বিষয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আমরা মনে করি, কঠিন হলেও তিনি তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।

চিকিৎসক তৈরির মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে রাষ্ট্রকে আরো উদ্যোগী ও কঠোর হতে হবে। অভিযোগ আছে, অনেক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই। উপযুক্ত অবকাঠামো নেই।

শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা রয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। মানসম্পন্ন ল্যাব ও গ্রন্থাগার নেই। তাহলে সেখানে একজন শিক্ষার্থী উপযুক্ত শিক্ষা কিভাবে পাবে? অভিযোগ আছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও।

এমনকি সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, নামকরা অধ্যাপকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে এত বেশি সময় ব্যয় করেন যে শিক্ষার্থীদের সময় প্রায় দিতেই পারেন না।

ছয়টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়। আমরা চাই, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিক্যাল কলেজগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি, শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন