English

25 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: কমছে না চালের দাম

- Advertisements -
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকার উৎখাতে গণ-আন্দোলন, দেশব্যাপী সংঘর্ষ, কারফিউ—নানা কারণে পরিবহনব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সারা দেশেই ব্যাহত হয়েছিল অন্যান্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে চালের সরবরাহ। এতে চালের দাম যতটা বাড়া যৌক্তিক ছিল, বেড়ে যায় তার চেয়ে অনেক বেশি। এখন পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
আগের মতো পথে পথে চাঁদাবাজির অভিযোগও নেই। তার পরও কেন কমছে না চালের দাম? প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহ পর্যাপ্ত। তার পরও দাম কমছে না, বরং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে অনেকটাই নীরবে বাড়ছে চালের দাম।

খুচরায় বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) সব ধরনের চালের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা করোনা মহামারি, পরবর্তীকালে যুদ্ধ-অবরোধ ইত্যাদি কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশেও। বিশ্ব সে প্রভাব অনেকটা কাটিয়ে উঠলেও বাংলাদেশে তার নেতিবাচক প্রভাব রয়ে গেছে।

আর তার বড় প্রভাব পড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। বিভিন্ন জরিপেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভার্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপ অনুসারে করোনা মহামারির মধ্যে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। কমে গেছে তাদের ক্রয়ক্ষমতা। সে অবস্থায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে।

বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এখনো যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে মানুষের হতাশা আরো তীব্র হবে। ভাত মানুষের প্রধান খাদ্য। অন্য কিছু না থাকলেও একটু নুন আর লঙ্কা দিয়ে মানুষ ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু চালই যদি নাগালের বাইরে চলে যায়, তাহলে মানুষ বাঁচবে কী করে?

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চালের এমন মূল্যবৃদ্ধির জন্য মিল মালিক, মজুদদার ও পাইকারি বিক্রেতাদের নানা ধরনের অবৈধ সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। সুযোগ পেলেই তাঁরা বাজার অস্থির করে তোলেন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাজারগুলো চাঁদাবাজমুক্ত করতে এবং পণ্যের অতিরিক্ত দাম নেওয়া রোধে রাজধানীসহ সারা দেশেই বাজারগুলোতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু তার সুফল কোথায়? এই অবস্থায় গরিব মানুষকে রক্ষায় জরুরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

আমরা মনে করি, বাজারে কার্যকর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। খোলাবাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম চালু করার পাশাপাশি এর পরিধি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে চাল আমদানির ওপর জোর দিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন