English

20 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে: ব্যবসা-বাণিজ্যে নানামুখী বাধা

- Advertisements -
করোনা মহামারি, লকডাউন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্ব অর্থনীতি চাপে আছে। অনেক দেশই এক ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও নানামুখী সংকট মোকাবেলা করছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তদুপরি রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সব মিলিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক উদ্যোক্তাই হিমশিম খাচ্ছেন।

ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক উদ্যোক্তা। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকঋণ কিংবা ঋণের সুদ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় ঋণখেলাপি হয়ে যাচ্ছেন কিংবা খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এমনিতেই বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ অনেক খারাপ। বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে দেখা যায়, ব্যবসা শুরুর পরিবেশ বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে তলানিতে।

এখানে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। বিভিন্ন অনুমতি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে অনেক সময় লেগে যায়। তারপর আছে অবকাঠামোগত সমস্যা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতা, নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ না পাওয়া। সমস্যা পোহাতে হয় ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা থেকেও। এখানে প্রকৃত উদ্যোক্তারা ঋণ পেতেও সমস্যায় পড়েন।
রাজনৈতিক আনুকূল্য এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবৈধ যোগসাজশে এখানে এমন অনেক ব্যক্তি ঋণ পান, যাঁদের লক্ষ্যই হচ্ছে ঋণখেলাপি হওয়া। অথচ অনেক প্রকৃত ব্যবসায়ী জরুরি প্রয়োজনেও ঋণ পান না। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের সুদও অনেক বেড়ে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা ১৫ শতাংশের ওপরে চলে গেছে। এত বেশি সুদ দিয়ে লাভজনকভাবে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।

কয়েক বছরের মধ্যে টাকার অনেক অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৮৫ থেকে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়। তা-ও পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যায় না। আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যায়। বাড়ে উৎপাদন খরচ। উৎপাদিত পণ্যেরও মূল্য বৃদ্ধি পায়। আবার পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কমছে পণ্যের চাহিদা। ফলে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের এখন বহুমুখী সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীরাও ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।

দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন দ্রুত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। এ জন্য দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন তৈরি করতে হবে। ব্যাংকঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাব দূর করে প্রকৃত উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। ব্যবসা শুরুর সূচকে অগ্রগতি করতে হবে। ব্যবসার প্রসারে প্রতিবন্ধকতা নয়, সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন