বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর যে পরিসংখ্যান আমরা পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে। এটি একদিক থেকে ইতিবাচক। কিন্তু এর সঙ্গে একটি নেতিবাচক দিকও আছে। গ্রামাঞ্চলেও আয়বৈষম্য বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে এখন দরিদ্র জনগোষ্ঠী ২০.৫ শতাংশ এবং শহরে ১৪.৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর দারিদ্র্যের হার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পেরেছে। কিন্তু এখনো যে তিন কোটি ৩৩ লাখ মানুষ দরিদ্র রয়ে গেছে, সেটি সংখ্যার দিক থেকে বেশি। তবে এই সময় দেশে বৈষম্য বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কারিগরি প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে সবার মধ্যে বণ্টন না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত এই বৈষম্য বাড়ছে। এখন প্রয়োজন শুধু উন্নয়ন নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন।
সবার আগে বৈষম্য কমাতে সরকারকে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিদ্যমান বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা। সেই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে আরো বেশি উদ্ভাবনী সৃজনশীলতা ও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
আয়বৈষম্য ও ভোগবৈষম্য যদি বাড়তে থাকে, তাহলে তা প্রবৃদ্ধির ওপর আঘাত হানবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বৈষম্যের পেছনে রয়েছে ন্যায্যতা ও শোভন কর্মসংস্থানের অভাব। প্রবৃদ্ধি ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সরকার নিশ্চয় এ বিষয়ে নজর রাখবে।
অতিদারিদ্র্য, ক্ষুধা, অপুষ্টি চিরতরে নির্বাসিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।