পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বক্স কালভার্ট নির্মাণকাজের শাটারিংয়ে স্টিলের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ ও গাছের খুঁটি, নির্মিত সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য সহজগম্য হয়নি, সড়কের পাশে ব্যবহৃত ইট চুরি হয়ে গেছে, সেতুর ঢালাইয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে, এমনকি সেতুর সংযোগস্থলও সেভাবে মসৃণ হয়নি।
এই প্রকল্প ভোলাবাসীর আর্থ–সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখতে পারবে?
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়ক সংস্কার কাজেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ কাজে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে।এ ছাড়া রাস্তার একটি রিং কালভার্ট ভেঙে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
নিয়ম ভেঙে সড়কে বালুর পরিবর্তে কাদামাটি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্পটি মূল উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নে দেড় বছর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই বর্ষার পানিতে সেতুর দুই পাশের মাটি ধুয়ে চলে গেছে। এখন এই সড়ক ও সেতু ব্যবহারকারী হাজার হাজার মানুষকে কয়েক কিলোমিটার ঘুরপথে চলাচল করতে হয়।
সারা দেশেই প্রকল্প বাস্তবায়নের হাল প্রায় একই রকম। জনগণের অর্থের এ ধরনের অপচয় কোনোভাবেই কাম্য নয়।প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন দুরবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাঁদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।যেকোনো মূল্যে কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে।