শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বই এখন ‘নতুন স্বাভাবিক’ জীবনযাত্রায় খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করার পর ইউরোপ-আমেরিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সেখানকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে তুলেছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদেরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। টিকা না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে হবে।
করোনার টিকা নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, টিকা প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দিন করোনার ভ্যাকসিন না বেরোবে, তত দিন এই মহামারি ঠেকানো কঠিন হবে। তত দিন আমাদের আত্মরক্ষা করতে হবে আক্ষরিক অর্থেই সব নিয়ম-কানুন মেনে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে করোনার টিকা সংগ্রহের সব চেষ্টাই চলছে বলে খবরে প্রকাশ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত কোভেক্স আর সেরাম থেকে অক্সফোর্ডের টিকা সংগ্রহেই সরকারের মনোযোগ। এই দুই মাধ্যমে টিকা সংগ্রহেই চলছে সব প্রস্তুতি। তবে ফাইজারের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরের তথ্য প্রকাশের দুই দিনের মাথায় রাশিয়ার স্পুিনক-ভি ৯২ শতাংশ কার্যকরের তথ্য প্রকাশিত হলে দেশে রাশিয়ার টিকা আনতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রার কারণে ফাইজারের টিকা দেশে আনতে সরকারের আগ্রহ কম হলেও একাধিক বেসরকারি সংস্থা নিজেদের উদ্যোগে স্বল্প পরিসরে তা দেশে আনতে আগ্রহী। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর ওই টিকা যে সংখ্যকই হোক, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে আনতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তারা।
সরকারের কাছ থেকে আগাম অনুমোদনও নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা এবং ভারতের সেরামের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই টিকার অনুমোদন মিললে কবে তা দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেদিকেও সবার নজর। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সানোফি পাস্তুর ও ভারতের বায়োটেকের সঙ্গে দেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের টিকা ট্রায়ালের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আমরা জেনেছি, সরকার দেশের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, সরকার সব সম্ভাব্য উৎসর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে দেশের মানুষের জন্য টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সফল হবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন