English

19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

কঠোর ব্যবস্থা নিন: কুমিল্লায় কিশোর দল

- Advertisements -

আমাদের গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই কিশোর দল নিয়ে খবর আসে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোরদের একটি অংশের বেপরোয়া আচরণ এখন পাড়া-মহল্লায় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অংশটি দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সাধারণভাবে তাদের পরিচিতি ‘কিশোর গ্যাং’।

দেশজুড়ে বাড়ছে কিশোর অপরাধের ঘটনাও। এমনই একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে । খবরে বলা হয়েছে, কুমিল্লা নগরীতে কিশোর দল রয়েছে কমপক্ষে ১৫টি। এদের হাতে গত পাঁচ বছরে অন্তত ১০ জন খুন হয়েছে।
কিশোর অপরাধের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই অনেকে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধীচক্রের সঙ্গে। ঘটাচ্ছে ভয়ংকর সব অপরাধ। প্রশ্ন হচ্ছে, কিশোরদের এভাবে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার কারণ কী?
সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় যে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে নানা অসংগতি রয়েছে। নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কিশোররা। তাদের আচরণে পরিবর্তন হচ্ছে। আবার কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণেও তাদের মধ্যে এক ধরনের ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠছে। কিশোর বয়সে ইতিবাচক চর্চার দিকে না গিয়ে নেতিবাচক চর্চার দিকে চলে যায়। মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত অনেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করেন। আবার যখন তারা দেখে যে অপরাধ যারা করছে তারা সমাজে বেশি লাভবান হচ্ছে, সেটা কিশোররা অনুসরণ করে। তাদের ওপর পারিবারিক ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

বিশেষজ্ঞরা একই সঙ্গে এটাও বলছেন যে আগের অনুশাসনগুলো সমাজে কাজ করছে না। সমাজের ভেতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা, বন্ধন—এগুলো নষ্ট হয়ে ছন্দঃপতন ঘটছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা একেবারেই নেই। এসব কারণে কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেমন—কুমিল্লা শহরের কিশোর দল সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি বলেছেন, সামাজিক অবক্ষয়, মাদক ও মোবাইলে আসক্তি এবং সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় এসব কিশোর বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বা আগ্রহ নেই। পরিবার থেকেও শিশু-কিশোরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না। এ কারণে তারা সহিংস অপরাধে জড়াচ্ছে।

সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, সন্তানের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের প্রতি অভিভাবকদের যতটা মনোযোগ দেওয়া দরকার, তা প্রায়ই দেওয়া হয় না।

এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? মুক্তির উপায় কী? অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবার ও সামাজিক পর্যায়ে সঠিক পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ কিশোর অপরাধ কমাতে অনেক সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকেও কঠোর হতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন