English

19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

উপদ্রুতদের পাশে দাঁড়ান: উত্তরাঞ্চলে বন্যা

- Advertisements -
বন্যা যেন আমাদের নিয়তি হয়ে গেছে। প্রতি বর্ষায় দেশের কোনো না কোনো অঞ্চল কিংবা একাধিক অঞ্চল বন্যার পানিতে ভাসবেই। পানি নেমে গেলেও দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার প্রভাব এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হয়েছে বন্যার প্রকোপ।
এর আগে প্লাবিত হয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কিছুদিন পরই ঘরে উঠত যে আমন ধান, সেই ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে আলু, মরিচ, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ। এ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে নদীভাঙন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরম ভাবাপন্ন হচ্ছে। একবার খরায় সব কিছু পুড়ে যাবে।

আবার বৃষ্টি শুরু হলে তো ঝরতেই থাকবে। তার ওপর সমস্যা হয়েছে আমাদের নদীগুলোর নাব্য সংকট। আগের মতো নদীগুলোর গভীরতা না থাকায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানি নদীগুলো ধারণ করতে পারে না। তখন সহজেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবন সৃষ্টি হয়। ঘরবাড়ি, ফসল, রাস্তাঘাট—অনেক কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলে যত ক্ষতি হয়, কেবল বন্যায় ক্ষতি হয় তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তার পরও নদীগুলো নাব্য করার ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ নেই বললেই চলে। প্রতিবছর নতুন করে পলি জমে নদী ভরাট হচ্ছে। দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণেও নদী হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি কোনো কোনো এলাকা থেকে এক মাসেও নামতে পারেনি। এর কারণ, পানি নামার খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। সারা দেশেরই অবস্থা প্রায় একই রকম। টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি ঢুকে পড়ায় যশোরের অভয়নগরের ভবদহ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের প্রায় ১২৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির ধান এবং ১৪৭ হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ছোট-বড় চার হাজার ৯০০ মাছের ঘের।
দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা আমাদের ভাবতেই হবে। খননের মাধ্যমে নদী ও খালগুলোকে নাব্য করতে হবে। মজবুত তীর রক্ষা বাঁধ গড়ে তুলতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিপ্রবাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন