ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে নদীভাঙন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরম ভাবাপন্ন হচ্ছে। একবার খরায় সব কিছু পুড়ে যাবে।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলে যত ক্ষতি হয়, কেবল বন্যায় ক্ষতি হয় তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তার পরও নদীগুলো নাব্য করার ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ নেই বললেই চলে। প্রতিবছর নতুন করে পলি জমে নদী ভরাট হচ্ছে। দখল, দূষণ ও ভরাটের কারণেও নদী হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি কোনো কোনো এলাকা থেকে এক মাসেও নামতে পারেনি। এর কারণ, পানি নামার খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। সারা দেশেরই অবস্থা প্রায় একই রকম। টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি ঢুকে পড়ায় যশোরের অভয়নগরের ভবদহ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের প্রায় ১২৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির ধান এবং ১৪৭ হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ছোট-বড় চার হাজার ৯০০ মাছের ঘের।
দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কথা আমাদের ভাবতেই হবে। খননের মাধ্যমে নদী ও খালগুলোকে নাব্য করতে হবে। মজবুত তীর রক্ষা বাঁধ গড়ে তুলতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিপ্রবাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।