সব মিলিয়ে বলা যায়, বন্যা উপদ্রুত জনগোষ্ঠী এক চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা খুবই কষ্টকর হবে। অন্যদিকে জনজীবন স্বাভাবিক করার জন্য রাস্তাঘাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে।
পানি নামতে শুরু করলেও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এখনো চরমে। ফলে ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পেটের পীড়া। দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগ। বাড়ছে চর্মরোগ।
সঠিকভাবে মোকাবেলা করা না গেলে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট রূপ নিতে পারে। সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, উপদ্রুত এলাকাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকসহ পর্যাপ্ত সংখ্যায় মেডিক্যাল টিমের কাজ করতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে ফিল্ড হসপিটাল গড়ে তুলতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দিকগুলোতে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। দ্রুততম সময়ে নদীগুলো নাব্য করার উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে উজানের ঢল ও বৃষ্টির পানি নদী দিয়ে সহজে নামতে পারে।
তা না হলে এমন বন্যা প্রতিবছরই আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন বন্যা উপদ্রুতদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সহায়তা করা।