গত দেড় দশকে সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে জরাজীর্ণ করে ফেলা হয়েছিল। দেশের ব্যাংকিং খাতের রীতিমতো মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সে অবস্থা থেকে ব্যাংকিং খাত ও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ এবং আয় হয়েছে এক হাজার ৬১১ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার। নভেম্বর মাসে পোশাক খাতে আয় বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার, যা গত বছর ছিল ২৮৪ কোটি ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় ৭.৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৮.৩৪ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল থেকে আয় হয়েছে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৭৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৬৮ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমলেও ফুটওয়্যার (চামড়াজাত ছাড়া) রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৪৫ শতাংশ।
আমরা আশা করি, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে এবং উত্তরোত্তর আরো সমৃদ্ধ হবে।