প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এবার সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৪ ও ৮ এপ্রিলের টিকিটের। এরই মধ্যে এই দুই দিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট গাবতলী ও কল্যাণপুরের কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া কাউন্টারের ঝামেলা এড়াতে কিছু বাস কম্পানি শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে।
টিকিটের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন মহাসড়কগুলোতে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু তার পরও আশঙ্কা করা হচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঈদ যাত্রায় সড়কপথে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে পারে তীব্র যানজট। এরই মধ্যে সারা দেশে ১৫৫টি তীব্র যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
দেখা যায় ঈদের সময় আন্ত জেলা বাস কম্পানিগুলো তাদের ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। এ সময় বিআরটিসিও বিশেষ সার্ভিস চালু করে। কিন্তু তার পরও ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না।আবার আঞ্চলিক রুটের অনেক বাস চলে আসে মহাসড়কে। ফলে প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।ঈদ সামনে রেখে আজ রবিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদ যাত্রায় পছন্দের পরিবহনের তালিকায় শীর্ষে থাকে ট্রেন। সড়কের যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতেই মূলত ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ। প্রকাশিত আরেক খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের সুফল পাবে অল্পসংখ্যক যাত্রী। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে আন্ত নগর, ঈদ বিশেষ, কমিউটার, মেইল ট্রেনসহ ৫৪ জোড়া ট্রেন ছেড়ে যাবে। আন্ত নগর, ঈদ বিশেষ ট্রেনে সব আসনে ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০ যাত্রীর জন্য আসনের টিকিট পাওয়া যাবে।এর বাইরে আসনের ২৫ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করার জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। চাহিদার বিপরীতে টিকিটের স্বল্পতায় বেশির ভাগ টিকিটপ্রত্যাশী এবারও বঞ্চিত হবে। এরই মধ্যে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। ভাঙাচোরা রাস্তা যেন কোনো দুর্ঘটনার কারণ না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা গেলে অনেকটা নির্বিঘ্ন হবে ঈদ যাত্রা।