অথচ পুকুরটির পাশেই উপবিভাগীয় প্রকৌশলীদের জন্য সরকারি কোয়ার্টার রয়েছে। কর্মকর্তারা সেখানে না থাকায় বেশির ভাগ সময় কোয়ার্টারগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকে। স্থানীয় লোকজনের প্রশ্ন, তার পরও পুকুর ভরাট ও শতাধিক গাছ কেটে ভবন বানানোর এমন উদ্যোগ কেন? নিয়ম অনুযায়ী জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করে অনুমোদন নিতে হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘সওজ থেকে এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তদন্তের জন্য আমার কাছে আসত। আমি এখনো কিছু জানি না।
নায়েবকে পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’ সওজ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেও জানেন না ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অথরাইজড অফিসার জানান, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য সওজ কোনো প্ল্যান পাস করিয়েছে কি না তাঁর জানা নেই। তারা পুকুর ভরাট করে কিভাবে ভবন নির্মাণ করছে, সেটির খোঁজ নেওয়া হবে।
জলাধার সংরক্ষণ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আমরা আশা করি, পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে বন্ধ করা হবে।