English

18 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

অভিযান জোরদার করুন: মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ

- Advertisements -

দেশের সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি কক্সবাজারেও প্রায়ই অপহরণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে জলদস্যু ও বনদস্যুদের অপতৎপরতা। কক্সবাজার এলাকায় তৎপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও দস্যুরা। প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খাল থেকে ১০ জন জেলেকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত জেলেরা সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ করতে গিয়েছিলেন। অপহরণের পর তাঁদের পরিবার ও নৌকার মালিকের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না পাওয়ায় তাঁদের ওপর নির্যাতনও চালানো হয়। তবে কোস্ট গার্ড, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও প্রশাসনের তৎপরতায় মুক্তিপণ ছাড়াই অপহৃত জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার নিজেদের ঘরে ফিরেছেন অপহৃতরা। প্রকাশিত খবরে ১০ জন জেলেকে অপহরণের কথা উল্লেখ করা হলেও ঘরে ফিরেছেন ১৫ জেলে। অর্থাৎ এই পাঁচজন আগেই অপহৃত হয়েছিলেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় এ ধরনের অপহরণের ঘটনা নিয়মিতই ঘটে থাকে। অনেক সময় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসন তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অনেক তথ্যই যে জানানো হয় না, তার প্রমাণ অতিরিক্ত পাঁচজনের ফিরে আসা। আর এ থেকে ধারণা করা যেতে পারে যে ওই এলাকায় দস্যুদের কাছে মুক্তিপণের দাবিতে আরো অনেকে আটক থাকতে পারে।
ওদিকে কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া থেকে গত রবিবার বিকেলে একই পরিবারের আট সদস্যকে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, অপহৃতরা বাড়ির পূর্ব দিকের পাহাড়ি ঝরনায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এ সময় পাহাড়ের আস্তানা থেকে সশস্ত্র রোহিঙ্গার দল বের হয়ে চারদিকে ঘিরে ধরে অস্ত্রের মুখে তাঁদের অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
অপহৃতদের পরিবারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনপ্রতি তিন লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে গত সোমবার সকাল থেকেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আস্তানার পাহাড়গুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে; কিন্তু গতকাল বিকেল পর্যন্ত এই আটজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত জুলাই মাসেও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে দুই বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্র।

স্থানীয় সূত্রের খবর হচ্ছে, পাহাড়ে আস্তানা গেড়েছে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা। এলাকার বাসিন্দারাই এসব রোহিঙ্গার টার্গেট। এলাকার লোকজন পাহাড়ে লাকড়ি গাছ-বাঁশ কুড়াতে গেলেই রোহিঙ্গারা তাদের ধরে ফেলে এবং মুক্তিপণ আদায়ের পর ছেড়ে দেয়।

অপহৃতদের কাউকে মুক্তিপণ ছাড়া তারা ছাড়ে না। উখিয়ার বালুখালী থেকে টেকনাফ দমদমিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে রোহিঙ্গাদের আস্তানা।

সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা কিংবা টেকনাফের উপকূলীয় এলাকায় দস্যুতা বেড়েছে। এলাকার কিছু মানুষও এই দস্যুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। কাজেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে তাদের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন