English

27 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নিন: মৌলভীবাজারের জুড়ী নদী সংরক্ষণ

- Advertisements -
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী এখন একটি বড় সমস্যা। একদিকে নদী হারিয়ে যাচ্ছে, নাব্যতা সংকটে নদীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে নদীভাঙনে সর্বস্বহারা হচ্ছে মানুষ। নদীভাঙন বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো সমস্যা নয়। নদীভাঙনের কারণ অনেক। বর্ষা মৌসুমে যেমন নদী ভাঙে, তেমনি শুকনা মৌসুমেও দেখা দেয় নদীভাঙন।একদিকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, অন্যদিকে আমরা নানাভাবে নদীগুলোর ক্ষতি করে চলেছি। নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে, অপরিকল্পিতভাবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। কমে যাচ্ছে নদীর ধারণক্ষমতা। অপরিকল্পিত নদীশাসনও নদীভাঙনের অন্যতম কারণ। আবার গ্রীষ্মে বা শুকনা মৌসুমে যখন নদীর পানি কমতে থাকে, তখনো নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্ষা মৌসুমেও নানা এলাকায় ভাঙন তীব্র হয়ে ওঠে।
Advertisements

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জুড়ী নদীর বাঁ তীর গৌরীপুর এলাকায় সংরক্ষণ প্রকল্প চলছে। ১১৫ মিটার তীর রক্ষায় দুই কোটি ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮০ টাকা ব্যয়ে কাজটি চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের কাজে শুরু থেকেই ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের বালু-পাথর ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া ব্লক তৈরির মিশ্রণে পরিমাণ অনুযায়ী বালু, সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহার করা হয়নি।

Advertisements

বালু ভালো করে পরিষ্কার করা হয়নি। গাছের পাতা, মাটি মিশ্রিত পাথরও ভালোভাবে ধোয়া হয়নি। সম্প্রতি ঢাকা থেকে আসা টাস্কফোর্স নদীর প্রতিরক্ষা কাজ পরিদর্শন করে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৯১টি ব্লক বাতিল করে সব কটিতে লাল কালি দিয়ে ক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, টাস্কফোর্স চলে যাওয়ার পর ১০টি ব্লক রেখে বাকি ৮১টির চিহ্ন ঘষে মুছে ফেলা হয়। পরে সেগুলোর ওপর সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর সন্দেহ, এই বাতিল ব্লকই তীর রক্ষায় ব্যবহার করা হবে।

নদীর নাব্যতা সমস্যার মতো নদীভাঙনও এখন একটি বড় সমস্যা। নদীভাঙনে প্রতিবছর কয়েক হাজার হেক্টর জমি যেমন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে উদ্বাস্তু-ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। কাজেই নদী সংরক্ষণে আমাদের যত্নশীল হতে হবে। আমরা মনে করি, এলাকাবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন