কয়েক দিন আগেই উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। এবারের ঈদ যাত্রায় অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছিল মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল চলেছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় কোটি মানুষ যাতায়াত করেছে।
গত কয়েক বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। এবারের ঈদ যাত্রার চিত্র একেবারেই বদলে দিয়েছে এই দুই চাকার বাহনটি। অথচ মোটরসাইকেল গণপরিবহন নয়। গণপরিবহনের বিকল্পও হতে পারে না। রাজধানীতে নগর পরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মহাসড়কে গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহৃত হতে পারে না। এ ক্ষেত্রেও দেখা যাবে অতিরিক্ত ট্রিপের আশায় বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর। এই তথ্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত চালকের আসনে তরুণদের একটু বেপরোয়া ভাব পরিলক্ষিত হয়। এই তরুণদের বেশির ভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অনেকেরই লাইসেন্স প্রাপ্তির বয়স হয়নি। অথচ অভিভাবকরা তাদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দিয়েছেন।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় সচেতনতা। যাঁরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন, তাঁদের সতর্কতার সঙ্গে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। কোনোভাবেই নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া যাবে না।
সচেতনতাই ভবিষ্যতের বড় দুর্যোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।