English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

প্রকৃত কৃষক লাভবান হোক: বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু

- Advertisements -

প্রতিবছরের মতো চলতি বছরও অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। সিদ্ধ চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা।

এই সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এবার মোট ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান কিনে অবৈধ মজুদ করতে পারবেন না। কে কতটুকু ধান কিনছেন, কোন মিল মালিকের কাছে বিক্রি করছেন, তা খাদ্য বিভাগকে জানাতে হবে। খাদ্য কর্মকর্তাদের এসব তথ্য নিয়মিত অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
প্রতিবছর ধানের মৌসুমে সরকারের পক্ষ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়। সরকারের এই সংগ্রহ অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরাসরি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। কৃষক যাতে কোনোভাবেই ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই কৃষকের কাছ থেকে কেনা হয় ধান ও চাল। অন্যদিকে দেশের রাইস মিলগুলো থেকেও সরকার চাল কিনে থাকে।

এ ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে রাইস মিলগুলোর চুক্তি সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে সরকারের খাদ্যগুদামে মিলগুলো চাল সরবরাহ করে থাকে। সরকার প্রয়োজনের সময় এই চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে। তাতে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়। সরকারের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও অতীতে দেখা গেছে, অনেক সময় কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। খাদ্যগুদামের শর্ত জটিলতায় গুদামে ধান বিক্রি করতে সমস্যায় পড়েন প্রকৃত কৃষকরা। আর্দ্রতা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় সরকারি দামে গুদামে ধান দিতে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার বা আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে গিয়ে চাষিরা বিপাকে পড়েন।

অতীতে দেখা গেছে, ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অনেক সময় পূরণ হয় না। আমাদের প্রত্যাশা, এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। বাজারে কোনো অস্থিরতা তৈরি হবে না।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন