English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

সবাইকে সচেতন হতে হবে: আবারও করোনা বাড়ার আশঙ্কা

- Advertisements -

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এখনো ব্যাপক আকারে বিদ্যমান। প্রতিদিন নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে গড়পড়তা ১৫ লাখের মতো মানুষ। ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি এশিয়াতেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। চীনে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে।

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশেই সংক্রমণের নতুন ঢেউ লেগেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সংক্রমণ বাড়ছে। সপ্তাহ তিনেক আগে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছিল সাত শর কাছাকাছি। আবার তা আড়াই হাজারে উঠেছে। আমাদের সীমান্তসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ। এসব কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে সংক্রমণ খুব কম থাকলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে করোনার নতুন ঢেউ বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে। কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও অনুরূপ আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারের কাছে ছয় দফা পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে করোনা মহামারি। বিশ্বে এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ। এসব নথিবদ্ধ হিসাব। ধারণা করা হচ্ছে, আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। রোগটি প্রতিরোধ ও আরোগ্যের জন্য বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। এর পরও রোগটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরন বা উপধরনের সন্ধান পাচ্ছেন। অনেকগুলোর ক্ষেত্রে টিকাও যথেষ্ট কার্যকর নয়। উন্নত দেশগুলোতে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার পর দুই ডোজ বুস্টার টিকাও দেওয়া হয়ে গেছে। এর পরও সেসব দেশে সংক্রমণ অনেক বেশি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টিকা নেওয়ার পরও সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
অনেক দিন বন্ধ থাকার পর ভারতে যাতায়াত শুরু হয়েছে। চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য বহু মানুষ প্রতিদিন ভারতে যাচ্ছেন। এমনকি ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার জন্যও অনেকে ভারতে ভ্রমণ করছেন। তাই ভারত থেকে নতুন করে সংক্রমিত হয়ে দেশে ফেরার শঙ্কা বাড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকা থেকেও প্রতিনিয়ত বহু মানুষ আসছেন। তাঁদের মাধ্যমেও নতুন নতুন ধরন বা উপধরনের সংক্রমণ চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন প্রবেশমুখে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনীহা তৈরি হয়েছে। এমনকি বেশির ভাগ মানুষ মাস্কও পরছেন না। এ ধরনের অসচেতনতা আমাদের আবারও গভীর সংকটে ফেলতে পারে।

সামনেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে গাদাগাদি করে গ্রামের বাড়ি যাবে এবং ফিরে আসবে। এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করেও সংক্রমণ আবার দ্রুত বাড়তে পারে। এ সময় মানুষ যাতে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। করোনা মহামারির ভয়ংকর রূপ আমরা দেখেছি। আবার যাতে তেমন পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য সবাইকে যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন