স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। সরকারের কর্মপরিকল্পনায় পাটকে দ্বিতীয় বড় রপ্তানি আয়ের খাত হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল (পাটকল)। এসব মিলের শ্রমিকরা এখন পাওনা আদায়ের জন্য প্রতিদিন মিছিল-সমাবেশ করছেন।
পাটকল বন্ধ করার সময় বলা হয়েছিল, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে।
আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধকালে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করবে।
এখন বিবেচনার বিষয় হচ্ছে অস্থায়ী বা বদলি শ্রমিকদের পাওনা কিভাবে পরিশোধ করা যাবে। প্রকাশিত খবরে ক্রিসেন্ট জুট মিলের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, এই জুট মিলে অস্থায়ী শ্রমিক ছিলেন তিন হাজারের মতো। অস্থায়ী শ্রমিকরা পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ দিনমজুরি, কেউ রিকশা চালিয়ে, কেউ নাইটগার্ডের কাজ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকে কাজ জোগাড় করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছেন।
এই শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সব পাটকল আধুনিকায়ন করে আবারও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করতে হবে।