এবার আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামে। গত বুধবার ভোরে একটি অবৈধ আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই নারীর দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে।
কেন ঘটছে একের পর এক এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামের আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। কারখানা মালিকের ব্যক্তিগত উদাসীনতা কি এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী? কারখানায় যেসব সাবধানতা ও প্রতিরোধব্যবস্থা থাকার কথা, তা কি ছিল?
আমরা একটু অতীতের দিকে তাকাই। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে ভয়াবহ আগুনে মারা যায় ১২৫ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টার ওয়াহিদ ম্যানশনে রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণে লাগা আগুনে পুড়ে মারা যায় ৭১ জন। ওই বিস্ফোরণের কারণ ছিল রাসায়নিক দ্রব্য। একইভাবে নিমতলীর আগুনের কারণও ছিল রাসায়নিক দ্রব্য।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি সেদিন। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা থেকে যথেষ্ট শিক্ষা নেওয়ার ছিল। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশহাটি গ্রামে কী করে আতশবাজির কারখানা হয়? এই কারখানা যে বৈধ ছিল না প্রকাশিত খবরে তা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বছরের পর বছর গ্রামটিতে এ ধরনের অবৈধ কারখানা চলেছে কী করে? আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ কী করেছে?
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আর কবে সচেতন হব? আর কত প্রাণ গেলে আমাদের চৈতন্যোদয় ঘটবে? বাণিজ্যের কাছে আর কত দিন জীবন মূল্যহীন হয়ে থাকবে।