English

21 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

সড়ক সংস্কারে দৃষ্টি দিন: ঘরে ফেরা নিয়ে শঙ্কা

- Advertisements -

ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ে। নিকটজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামাল দিতে চালু হয় বিশেষ সার্ভিস। এ সময় আঞ্চলিক রুটের অনেক বাস চলে আসে মহাসড়কে।

এসব বাস মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁঁড়ায়। একদিকে এসব বাসের চালক মহাসড়কে যানবাহন চালানোর ব্যাপারে অভিজ্ঞ নয়, তার ওপর রয়েছে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে পেছনে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়, সৃষ্টি হয় যানজট। এ ছাড়া যানজটের একটি বড় কারণ হচ্ছে চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাঘাট। ক্ষতবিক্ষত মহাসড়ক অনেক সময় মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়।
এবারও ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে খানাখন্দ, প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীসাধারণের ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কাঁচপুর সেতু, বন্ধবন্ধু সেতু ও শিমুলিয়া ফেরিঘাটে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ঈদ যাত্রায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পলখান-শিংলাবো, ভুলতা, গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা, বরপা, তারাব বিশ্বরোড ও গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় যানজট বহুগুণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাজার বসা এবং সংস্কারকাজ চলমান থাকায় ঈদ যাত্রায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগআলী, গাজীপুর ও বোর্ডবাজার এলাকায়ও যানজট তৈরি হয়ে যাত্রী ভোগান্তি চরমে ওঠে। ঈদ যাত্রায় এই ভোগান্তি আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলমান বিআরটি প্রকল্পের কাজও এই মহাসড়কে যাত্রী ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের নলকা সেতুও ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এই নতুন সেতুটির নির্মাণকাজ ঈদের আগে শেষ করা না গেলে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২৪ জেলার যাত্রীসাধারণ ভোগান্তিতে পড়তে পারে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এবং হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার মহাসড়কে রয়েছে অন্তত ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান।
ঈদ যাত্রায় যানজট থেকে মুক্তি দিতে পারে দ্রুত সড়ক সংস্কার। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক-মহাসড়ক সংস্কারে হাত দিতে হবে। ভাঙাচোরা রাস্তা যেন কোনো দুর্ঘটনার কারণ না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। হাতে যে কদিন সময় আছে এর মধ্যে যেটুকু সম্ভব রাস্তা মেরামত করা গেলে ঈদ যাত্রার দুর্ভাবনা থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে।

সেই সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা গেলে অনেকটা নির্বিঘ্ন হবে ঈদ যাত্রা।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন