প্রতিবেদন বলছে, অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাবনার অনেক সেচ খালই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সেচের পানি পাচ্ছেন না অনেক কৃষক। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবছর সেচের আওতা বাড়িয়ে পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জের মোট ১২টি উপজেলায় বিস্তৃত করা। পৌনে দুই লাখ হেক্টরের বেশি জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অথচ চলতি বছর সেই প্রকল্পের সেচ এলাকা মাত্র সাড়ে তিন হাজার হেক্টরে নেমে এসেছে।
অনেক জায়গায় পাউবো নির্মিত সেচ খাল অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে, কোনো খাল সংকুচিত হয়ে গেছে, কোনো খাল দিয়ে পানি আসে না। পাউবোকে বারবার বলার পরও তারা কিছু করেনি। কোনো এলাকা কৃষকেরা নিজেরাই খাল সংস্কার করেছেন, কোনো এলাকায় খালের পানি না পেয়ে বাধ্য হয়ে সেচযন্ত্র বসিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এ জন্য প্রতি বিঘায় কৃষকের তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ প্রকল্পের শুরুতে সেচ বাবদ পাউবোকে বিঘাপ্রতি বছরে ১৮০ টাকা করে দিতে হতো। ফলে সেচ দিতে গিয়ে কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে ফসলের আবাদ।
পাউবোর বেড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, সেচ ও পল্লি উন্নয়নে আরেকটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেচ খালগুলোর পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটি নিঃসন্দেহে আশার কথা। আমরা চাই দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হোক। এখন কথা হচ্ছে, সেই খালগুলো কয় দিন ঠিক থাকবে? অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে এ প্রকল্পটিও যাতে ব্যর্থ না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হোক।