যানজট আমাদের চিরচেনা এক ভোগান্তির নাম। যেমন রাজধানী বা বড় শহরগুলোতে, তেমনি দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়কজুড়ে। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য সড়কের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়াকে মূলত দায়ী করছেন। এ ছাড়া আছে সড়ক ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা ও দক্ষতার অভাব।
পবিত্র ঈদুল ফিতর কাছাকাছি চলে আসছে। এ সময় লাখ লাখ মানুষ কর্মস্থল থেকে ঘরমুখো হয়। পণ্য পরিবহনের পরিমাণও অনেক বেড়ে যায়। ফলে ঈদ যত কাছাকাছি হয়, সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপও তত বাড়ে। এরই মধ্যে মহাসড়কের অনেক স্থানে যানজট শুরু হয়ে গেছে। দেখা যায়, শুক্রবার সকালেও সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। মহাসড়কের কড্ডার মোড় থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট বিরাজ করছিল। এতে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২৪ জেলার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এই যানজটের জন্য সড়কে থাকা খানাখন্দকেও দায়ী করা হচ্ছে। জানা যায়, কড্ডা মোড়, সীমান্ত বাজার, নলকা সেতু ও পাঁচলিয়া এলাকায় যানবাহনের বেশি জটলা তৈরি হয়।রাজধানী কিংবা বড় শহরগুলোতেও যানজটের একটি বড় কারণ যানবাহন চলাচল ছাড়া অন্যান্য কারণে সড়ক দখল করে রাখা। কোথাও দোকানের মালপত্র রাখা হয় ফুটপাতে। ফলে পথচারীরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। দিনের বেলা দোকানের সামনে ট্রাক, ভ্যান দাঁড় করিয়ে মালপত্র ওঠানো-নামানো কিংবা খালি ট্রাক-ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা, মার্কেট-সুপারশপের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কেনাকাটা করা, হকারদের পসরা সাজিয়ে বসাসহ আরো অনেক কারণেই যানজট তীব্রতা পায়। এতে যেমন দৈনিক লাখ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, তেমনি এর অর্থনৈতিক ক্ষতিও অপরিসীম। আবার অ্যাম্বুল্যান্সেই অনেক সময় মুমূর্ষুু রোগীর মৃত্যু হয়। অসহনীয় যানজটের এমন দুর্ভোগ থেকে নাগরিকদের মুক্তি দিতে সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্ঘটনা কমানোর জন্যও সড়ক-মহাসড়কে বাজার বসানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সেই নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।