English

22 C
Dhaka
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক: বাসচাপায় মায়ের মৃত্যু

- Advertisements -

চালকের সামান্য অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে। বাংলাদেশের সড়কে প্রতিদিনই এমনটি ঘটছে। রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন।

দুই মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় স্কুলে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ছিটকে সড়কে পড়ে যান। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুই শিশুকন্যা মায়ের অকালমৃত্যুর সেই ভীতিকর দৃশ্য কি কোনো দিন ভুলে যেতে পারবে? গত সোমবার রাত থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী ও নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পরিবহনের ত্রুটি, চালকের দোষ, সড়কের অবস্থা, নানা অব্যবস্থাপনা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় জানিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২১ সালে যে পরিমাণ মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা; যা জিডিপির ০.৩ শতাংশ।
ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ২০১৮ সালে জানিয়েছিল, সড়ক দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১.৬ শতাংশ। গত বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১.৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছিল প্রায় চার হাজার। এতে ক্ষতি হয়েছিল ৩৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকার।

এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, যেগুলোকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ডও বলা যায়। লাইসেন্সহীন অদক্ষ চালকের হাতে, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। কয়েক বছর আগের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রায় ৪০ শতাংশ চালকেরই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আবার বৈধ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন এমন চালকদের ৩১ শতাংশ কোনো অনুমোদিত ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নেননি।

বহু ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করে রাস্তায়। বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোসহ বহু অনিয়মের কারণেও রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল লেগেই আছে।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ব্যবস্থাও কম নেওয়া হয়নি। এর পরও দুর্ঘটনা থেমে নেই। সড়কের সঙ্গে বহু সংস্থা জড়িত থাকলেও সড়কের নিরাপত্তায় ওই সংস্থাগুলো নিয়ে একসঙ্গে তেমন কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি এ রকম একটি সমন্বিত কাজের পরিকল্পনা করা হলেও নানা অসংগতি থাকায় সেটি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন