English

21 C
Dhaka
রবিবার, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
- Advertisement -

সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক: চার জেলায় ৯ জন নিহত

- Advertisements -

কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন আইন হয়েছে। মহাসড়কে শ্লথগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিভাইডার বসানো হয়েছে।

এর পরও সড়ক দুর্ঘটনা থেমে নেই। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ হিসাব দিয়েছে, গত ১০ বছরে ৩২ হাজার ৭৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৮০ হাজার ৩১৬ জন আহত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরনো এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫৫ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে। ওই একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়, দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার মানুষ নিহত এবং ৩৫ হাজার আহত হয়।
নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পরও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে দেশজুড়ে। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও দিনাজপুর জেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে একের পর এক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, হাইওয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি সমন্বিত কাজের পরিকল্পনা করা হলেও নানা অসংগতি থাকায় সেটি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

সড়ক নিরাপদ করার জন্য হাতে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর ফল কেমন হবে সেটা পরিষ্কার নয় বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিক সমীক্ষা ও পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই করা না হলে প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়বে। অনেকের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের হাতে, তাদের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতাই নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা চাই না। চাই সড়ক নিরাপদ হোক। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন