English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

খুনখারাবি বন্ধে তৎপর হোন: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

- Advertisements -

দেশে খুনখারাবির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলতে হবে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। রাজধানী ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

এ সময় আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমতলী পানামা ভবনের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাসে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে প্রতিদিন সারা দেশে গড়ে সাতজন করে খুন হয়েছে। মোট হত্যাকাণ্ড ঘটেছে চার শর বেশি। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সারা দেশে মানুষ খুন হয়েছে তিন হাজার ৫৩৯ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ জন করে খুন হয়েছে ওই বছর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এই গড় দৈনিক সাতজন খুন হয়েছে। এটা যে বাড়বে না—এমন নিশ্চয়তা তো দেওয়া যায় না।
যখন রাজধানীতেই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটে যায়, থানার সামনেই পুলিশ ছুরিকাহত হয় তখন নিশ্চয় ‘দেশে অপরাধপ্রবণতা অনেকটা কম’—এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।

অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেও খুনের ঘটনা ঘটে। তার অনেক উদাহরণও পাওয়া যাবে।

বগুড়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৬০ বছরের এক ব্যক্তিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ২০০৯ সালের একটি ধর্ষণ মামলারও প্রধান আসামি। ওই মামলায় তিনি সাত মাস কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। ১৩ বছরেও মামলার বিচার শেষ হয়নি।

শাহজাহানপুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু ফুটপ্রিন্ট, আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার কথা জানিয়ে র‌্যাব বলছে, বেশ কিছু মোটিভ তাদের কাছে এসেছে। যিনি গুলি করেছেন তাঁকেও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্যায়কারীর শাস্তি হলে তা দেখে অন্যরা অন্যায় কাজে নিরুৎসাহ হবে। আর সে কারণেই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন