দেশে খুনখারাবির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলতে হবে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। রাজধানী ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেও খুনের ঘটনা ঘটে। তার অনেক উদাহরণও পাওয়া যাবে।
বগুড়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৬০ বছরের এক ব্যক্তিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ২০০৯ সালের একটি ধর্ষণ মামলারও প্রধান আসামি। ওই মামলায় তিনি সাত মাস কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। ১৩ বছরেও মামলার বিচার শেষ হয়নি।
শাহজাহানপুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু ফুটপ্রিন্ট, আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার কথা জানিয়ে র্যাব বলছে, বেশ কিছু মোটিভ তাদের কাছে এসেছে। যিনি গুলি করেছেন তাঁকেও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্যায়কারীর শাস্তি হলে তা দেখে অন্যরা অন্যায় কাজে নিরুৎসাহ হবে। আর সে কারণেই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে।