অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম শর্ত বিনিয়োগ। আধুনিক বিশ্বে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈদেশিক বিনিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। নিজেদের দেশের বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ উন্নয়নের নেপথ্য শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। নতুন নতুন বিনিয়োগ বিকাশমান অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পরও বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে তারা। মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নে তারা ভূমিকা রাখছে।
অন্যদিকে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে বেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। গত বুধবার ঢাকায় একটি হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সৌদি সরকার বা সৌদি কম্পানিগুলো আসতে চায়, তাদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ২০টি সৌদি কম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এই অবস্থায় অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সব সমন্বয়হীনতা ও আমলান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। পরিবেশ সৃষ্টি করে আস্থা অর্জন করতে হবে।