English

18 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: নদীর জায়গায় ইটখোলা

- Advertisements -

দেশে একসময় হাজারের বেশি নদী ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়। সাত শ নদীর তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, বর্তমানে কোনো রকমে টিকে আছে ৪৩০টি নদী। অপরিকল্পিত বাঁধ, স্লুইস গেট, দখল ও দূষণে এই নদীগুলোর অবস্থাও এখন সংকটাপন্ন।

বেশির ভাগ নদীতেই বর্ষার দু-তিন মাস ছাড়া পানি থাকে না। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, খুলনার শৈলমারী বা শোলমারী নদীটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। বটিয়াঘাটা বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীটিতে রয়েছে ১০ ভেন্টের (কপাট) একটি স্লুইস গেট। উজানের পানি আসতে না পারায় জোয়ারের পানিতে থাকা পলি জমে নদীটি দ্রুত ভরাট হচ্ছে। নানা জায়গায় চর পড়েছে। নদীর জায়গা দখল ও ভরাট করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ইটখোলা। একসময়ের খরস্রোতা নদীটিতে এখন ভাটার সময় পানি থাকে না। মানুষ হেঁটেই নদী পার হতে পারে। খুলনা শহরের পাশে থাকা রূপসা ও ভৈরব নদের অবস্থাও ভালো নয়। নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে বহু স্থাপনা। ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, খুলনার পাঁচটি উপজেলায় নদীর জায়গা দখল করে ২৭টি ইটখোলাসহ বহু স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এত দিনে নিশ্চয় দখলদারি আরো বেড়েছে। অনেক জায়গায় বাঁধ দিয়েও নদী মেরে ফেলা হচ্ছে। আর এমন চিত্র শুধু খুলনার নয়, সারা দেশেরই।
বলা হয়, নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। কিন্তু আমরা কি তা বিশ্বাস করি? নদীদূষণ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড, নদী দখলের প্রতিযোগিতা কিংবা নদী রক্ষায় রাষ্ট্রের উদাসীনতা দেখলে আমাদের তেমন বিশ্বাস আছে বলে মনে হয় না। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট ঢাকার পাশে থাকা তুরাগ নদকে ব্যক্তি আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছেন। রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মধ্যে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদী একই মর্যাদা পাবে। কিন্তু উচ্চ আদালতের সেই রায়ের প্রতি আমরা কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করছি। নদীর দখল, দূষণ ও ভরাটের বিরুদ্ধে অনেক আইন রয়েছে। সেসব আইনের প্রয়োগ কোথায়?
আইনের প্রয়োগ থাকলে খুলনায় নদী দখল করে গড়ে ওঠা কয়েক ডজন ইটখোলা বছরের পর বছর চলছে কিভাবে? বলা বাহুল্য, ইটখোলাগুলোর সবই অবৈধ। কারণ নদীর জায়গায় গড়ে ওঠা কোনো ইটখোলাকে কোনো কর্তৃপক্ষই বৈধতা দিতে পারে না।

আমরা চাই নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ইটখোলাগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হোক। একই সঙ্গে ভরাট করা অংশগুলো খননের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রবাহ বাধাগ্রস্ত বা ভরাটের কারণ হয় এমন বাঁধ, স্লুইস গেট অপসারণ করার বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন