জানুয়ারি মাসে ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিকবার শৈত্যপ্রবাহ আঘাত হেনেছে। পঞ্চগড়সহ কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। এতে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
এ বছর তা আরো কম দেখা গেছে। সরকারিভাবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের কর্মসূচিও ছিল কম। সেই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ প্রান্তিক পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাও দরিদ্র মানুষের বড় ভোগান্তির কারণ হয়েছে।প্রকৃতির নিয়মেই শীতকালে শৈত্যপ্রবাহ আসবে, আর গ্রীষ্মকালে আসবে তাপপ্রবাহ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই আরো চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠবে। শীতকালে যেমন শীতের তীব্রতা বাড়বে, তেমনি গ্রীষ্মকালেও বাড়বে গরমের তীব্রতা। বাড়বে ঝড়ঝঞ্ঝা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা আটকাতে পারব না। কিন্তু পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যেতে পারে।
আশু উদ্যোগ হিসেবে দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের মধ্যে দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে ভাসমান ও অতিদরিদ্র মানুষের জন্য স্থায়ী ও মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। দরিদ্র মানুষের পুষ্টিমান উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।