২০২০ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই ধারা বন্ধ করতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশনা যে প্রতিপালিত হয়নি গত ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা তার প্রমাণ। এই সভায় পাস হওয়া ১০টি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটি ছিল সংশোধিত প্রকল্প।
কিন্তু ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো কি আদৌ সম্ভব? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রকল্পে রাজস্ব ব্যয়ে বেতনের বাইরেও থাকে প্রায় ১১ ধরনের ভাতা। বাড়িভাড়া, বিনোদন, উৎসব, চিকিৎসা, আপ্যায়ন, টিফিন, যাতায়াত, শিক্ষা, ফোন, ভ্রমণ ও অন্যান্য ভাতা। সেই সঙ্গে গাড়ি পরিচালনা, ড্রাইভারের বেতন, জ্বালানি, অফিস ব্যয়সহ নানামুখী ব্যয় থাকে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে এই ব্যয় চলমান থাকে। কিন্তু প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবের সময় তা বলা হয় না।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কেন? সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কি মন্ত্রণালয়গুলোর সক্ষমতা নেই? নাকি ডিপিপি অনুযায়ী সঠিকভাবে কর্ম সম্পাদন করা হয় না? সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে আরেকটি বড় ক্ষতি হচ্ছে সরকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যে আর্থিক সহায়তা নেয়, সেই দায়দেনার পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়।
অনেক প্রকল্পে উন্নয়নকাজ থেকে টাকা কাটছাঁট করে বেতন-ভাতা খাতে টাকা স্থানান্তর করা হয়। দেখা দরকার, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে কাদের লাভ হয়। তাহলেই মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ জানা যাবে।