প্রতারণার নানা কৌশলে বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ। প্রতারকচক্র নানাভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে মানুষের টাকা আত্মসাতের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। দেশি-বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়া, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিসহ বিভিন্ন টোপ ফেলে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এবার পাওয়া গেছে নতুন এক কৌশলের খবর। দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া এক চক্রের সন্ধান মিলেছে সাভারের আশুলিয়ায়। গত সেপ্টেম্বরে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এক প্রতারক স্থানীয় একজনকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিল। তাঁর তিন লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেড় লাখ টাকা নিয়েই উধাও হয়ে যায় প্রতারক।
তাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা টাকা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় অপরাধ তদন্ত বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে। টাকার কারসাজি সেখানেই ধরা পড়ে।
প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জাল টাকার কারবারি পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও থেমে নেই এই ব্যবসা। সারা বছরই জাল টাকার ব্যবসা চলে। মূলত রাজধানী ঢাকা এই জাল টাকার কারবারিদের কেন্দ্র হলেও তাদের নেটওয়ার্ক সারা দেশে বিস্তৃত।
যেমন—আশুলিয়ার এই ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ বলছে, প্রতারকচক্রের হোতারা থাকে ঠাকুরগাঁও সীমান্ত এলাকায়। পুলিশের ধারণা, যারা সাভার, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয়, তারা কমিশনভিত্তিক এজেন্ট। যথেষ্ট সচেতন না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ কারবারিদের ফাঁদে পড়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
জাল নোট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরের জনসমাগমস্থলে আসল নোটের বৈশিষ্ট্য নিয়ে তৈরি করা ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
সারা দেশে বিতরণ করা হবে আসল নোটের বৈশিষ্ট্যসংবলিত হ্যান্ডবিল। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যবিষয়ক পোস্টার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইউএনও অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তার পরও ঘটছে প্রতারণার ঘটনা।
সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। পুলিশ এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন বাকিদেরও খুঁজে বের করতে হবে।