একপাশে হাসপাতালের দেয়াল, অন্যদিকে বসবাস ৫০ পরিবারের। ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাণ্ডাব সিলমাপাড়ার এই ৫০ পরিবারের লোকজনের বাইরে যাতায়াত, হাট-বাজারে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তাদের যাতায়াত করতে হয় হাসপাতালের দেয়াল টপকে। অথচ এই হাসপাতালের জন্য এ এলাকার মানুষও জমি দিয়েছে।
এখন তাদের যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। প্রতিবেদনের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের দেয়ালের ওপর দিয়ে একটি লাশ নেওয়া হচ্ছে জানাজার জন্য। এইএলাকায় একটি মসজিদ থাকলেও জানাজার জন্য জায়গা নেই। ফলে কেউ মারা গেলে জানাজার জন্য এভাবেই লাশ নিতে হয়। চলাচলের রাস্তা না থাকায় প্রায় ৪০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই এলাকার মানুষ।
রাস্তার জন্য আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পৌর মেয়রের ভাষ্য, রাস্তা করার জন্য অনেকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; কিন্তু জায়গা না পাওয়ায় রাস্তা করা সম্ভব হয়নি।
মানুষের মনে সরকারের কল্যাণকামী ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘মুজিববর্ষে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ-সহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর ২ শতাংশ জমির মালিকানা। সব মহল থেকেই এই প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
দেশের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সেখানে পৌর এলাকার কিছু মানুষ শুধু একটি রাস্তার অভাবে অনেকটাই বন্দি বা অবরুদ্ধ জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে?
পৌর মেয়র বলেছেন, জায়গার অভাবে রাস্তা করা সম্ভব হচ্ছে না। জায়গা বের করা কি এতই কঠিন কাজ। একটি দেয়ালের কারণে অবরুদ্ধ থাকবে একটি এলাকার মানুষ, এটা হতে পারে?
ভালুকা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাণ্ডাব সিলমাপাড়ার এই ৫০ পরিবারের লোকজনের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তার ব্যবস্থা দ্রুতই করা হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।