English

23 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

সর্বস্ব হারাচ্ছে অনেকে: ক্রিকেট নিয়ে জুয়া

- Advertisements -

ক্রিকেট মাঠে ম্যাচ গড়াপেটার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অনেক আগে থেকেই ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে নানা ঘটনা ঘটে থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনেও এর কালো ছায়া পড়েছে। ২০১৪ সালে অতি সম্ভাবনাময় এক খেলোয়াড়কে ক্রিকেট জুয়ায় জড়িয়ে আজীবন বহিষ্কৃত হতে হয়। কিন্তু ক্রিকেটের জুয়া এখন শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ নেই। মাঠ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। চার পর্বে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলা চলছে সারা দেশে। গ্রাম বা শহরের চায়ের দোকান থেকে ক্লাব, পাঁচতারা হোটেলেও বসছে জুয়ার আসর। নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

খেলার মাঠে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ম্যাচে খেলার মাঠেই জুয়াড়িদের সক্রিয় হতে দেখা যায়। অনেক মাঠ থেকে জুয়াড়িদের আটক করার ঘটনাও ঘটেছে। এমন ঘটনার উদাহরণ বাংলাদেশের আছে। ২০১৭ সালের বিপিএলে অভিযান চালিয়ে গ্যালারি থেকে আটক করা হয় ৭৭ জনকে। ওই জুয়াড়িদের ৬৫ জন বাংলাদেশি, ১০ জন ভারতীয় এবং দুজন ছিল অন্য দেশের। বিদেশের বৈধ বেটিং সাইটে বিপিএলের একেকটি ম্যাচে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাজি ধরার রেকর্ড আছে।

আঞ্চলিক কোনো প্রতিযোগিতা নিয়েও যে বাইরের দেশে জুয়া হতে পারে, বাংলাদেশে এর নজির স্থাপিত হয়েছে। মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশন থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে চলছে বাজি ধরা। টাকা আদান-প্রদান হচ্ছে বিকাশে। মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়েছে এই জুয়া। উঠতি বয়সী তরুণ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। কোনো কোনো অফিসেও নাকি সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে বাজি ধরছেন।

যেকোনো খেলা নির্মল আনন্দ দেওয়ার জন্য। মাঠের পারফরম্যান্স একজন খেলোয়াড়ের জনপ্রিয়তা বাড়ায়। কিন্তু প্রতিটি বল কিংবা ব্যাটসম্যানের প্রতিটি শট যদি বাজি ধরার বিষয় হয়ে যায়, তাহলে খেলার আনন্দ আর থাকে না। এ ধরনের জুয়া সামাজিক শান্তি বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সমাজে বড় ধরনের কোনো সর্বনাশ হওয়ার আগেই লাগাম টেনে ধরতে হবে। বন্ধ করতে হবে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

ক্রিকেট বাংলাদেশকে অন্য ধরনের এক গৌরবের অধিকারী করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি। দেশের ক্রিকেটাররা এখন বিদেশেও পেশাদার ক্রিকেট খেলছেন। বিদেশের আঙ্গিকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের পেশাদার ক্রিকেট হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্রিকেটের জগেক কলঙ্কিত করা অবশ্যই অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিই কাম্য।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন