হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ান: বেড়েছে বৈকালিক সেবার পরিধিসম্পাদকীয়জুন ১৬, ২০২৩ ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ নিরাপদ নিউজ অনলাইন ডেস্কFacebookTwitterWhatsAppEmailPrint - Advertisements - সম্পাদকীয়দেশের বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের উচ্চমূল্যের সেবা নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অসুস্থতায় তাঁরা ছুটে যান সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে রোগীর দীর্ঘ লাইন। অনেক হাসপাতালে ভোর রাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়।বেশির ভাগ হাসপাতালের আউটডোরে বেলা একটা-দেড়টার মধ্যে রোগী দেখা বন্ধ হয়ে যায়। লাইনে থাকা অনেক রোগীকেই বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হয়। এর কারণ প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার স্বল্পতা। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার গত ৩০ মার্চ জেলা পর্যায়ের ১২টি এবং উপজেলা পর্যায়ের ৩৯টি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে বৈকালিক চেম্বার বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেছিল।যথেষ্ট প্রচার না থাকা সত্ত্বেও এ কার্যক্রম ব্যাপক সাফল্য পায়। তারই সূত্র ধরে সরকার এখন আরো ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস বা বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছে। এর মধ্যে ঢাকার চারটি বিশেষায়িত হাসপাতালও আছে। এগুলো হলো—ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।এখন পর্যন্ত দেশের ১৮৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হলো।বিদ্যমান একেকটি হাসপাতালের স্থাপনা তৈরি, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। সেই হাসপাতালে একবেলা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চললে যে পরিমাণ রোগী সেবা পায়, দুই বেলা হলে সেই একই অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এখানে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সময়ে কাজ করতে হয় বলে একটি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটিও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে অনেক কম।সরকারের এই কার্যক্রমটি সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে। আবার স্বল্প ব্যয়ে ও কম ঝামেলায় চিকিৎসা নিতে পেরে সেবা গ্রহণকারীরাও সন্তুষ্ট। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও মনে করেন, সরকারের গৃহীত এ উদ্যোগ খুবই ভালো। তাঁদের মতে, এর সর্বাধিক সাফল্যের জন্য আরো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তার মধ্যে আছে, হাসপাতালগুলোতে লোকবলের যে সংকট রয়েছে তা দূর করা। চিকিৎসক শুধু নয়, নার্স ও টেকনিশিয়ানের বহু পদ খালি পড়ে আছে।পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে এই সেবার সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে রোগ নির্ণয়কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণের সরবরাহ বাড়াতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, তাঁরা আশা করছেন এ বছরের মধ্যে সব উপজেলা হাসপাতালে বৈকালিক সেব চালু করা যাবে। আমরা তেমনটাই আশা করি। সে জন্য হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, দেশের সব মানুষের জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটুক।সম্পাদকীয়FacebookTwitterWhatsAppEmailPrint সাবস্ক্রাইব নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুনNotify of new follow-up commentsnew replies to my comments Label নাম* ইমেইল* Label নাম* ইমেইল* 0 মন্তব্য সবচেয়ে পুরাতন সবচেয়ে নতুন Most Voted Inline FeedbacksView all comments Advertisements সর্বশেষ বিনোদন‘শুধু সম্মান করবে’ দ্বিতীয় বিয়ের পর সালমানকে বাবা সেলিম খান অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১২:২৫ অপরাহ্ণ বিনোদনসন্তানদের নিয়ে কারিশমার বাড়িতে কারিনা অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১২:২২ অপরাহ্ণ দুর্ঘটনা সংবাদছেলেকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় এসে সড়কে প্রাণ গেলো বাবার অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ দুর্ঘটনা সংবাদগোপালগঞ্জে বাসচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ - Advertisements - এ বিভাগে আরো দেখুন সম্পাদকীয়অপচয়মূলক ব্যয় কমান: এডিপি বাস্তবায়নে ধস অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১১:৫৪ অপরাহ্ণ সম্পাদকীয়ব্যয় কমাতে ব্যবস্থা নিন: চিকিৎসা খরচ আরো বাড়বে অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ সম্পাদকীয়মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নিন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ সম্পাদকীয়এই ধারা অব্যাহত থাকুক: বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে অনলাইন ডেস্ক - জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
দেশের বেশির ভাগ মানুষের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের উচ্চমূল্যের সেবা নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অসুস্থতায় তাঁরা ছুটে যান সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে রোগীর দীর্ঘ লাইন। অনেক হাসপাতালে ভোর রাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়।
বেশির ভাগ হাসপাতালের আউটডোরে বেলা একটা-দেড়টার মধ্যে রোগী দেখা বন্ধ হয়ে যায়। লাইনে থাকা অনেক রোগীকেই বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হয়। এর কারণ প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার স্বল্পতা। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার গত ৩০ মার্চ জেলা পর্যায়ের ১২টি এবং উপজেলা পর্যায়ের ৩৯টি হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে বৈকালিক চেম্বার বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেছিল।
যথেষ্ট প্রচার না থাকা সত্ত্বেও এ কার্যক্রম ব্যাপক সাফল্য পায়। তারই সূত্র ধরে সরকার এখন আরো ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস বা বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছে। এর মধ্যে ঢাকার চারটি বিশেষায়িত হাসপাতালও আছে। এগুলো হলো—ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
বিদ্যমান একেকটি হাসপাতালের স্থাপনা তৈরি, যন্ত্রপাতি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। সেই হাসপাতালে একবেলা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চললে যে পরিমাণ রোগী সেবা পায়, দুই বেলা হলে সেই একই অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এখানে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সময়ে কাজ করতে হয় বলে একটি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটিও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে অনেক কম।
সরকারের এই কার্যক্রমটি সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছে। আবার স্বল্প ব্যয়ে ও কম ঝামেলায় চিকিৎসা নিতে পেরে সেবা গ্রহণকারীরাও সন্তুষ্ট। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও মনে করেন, সরকারের গৃহীত এ উদ্যোগ খুবই ভালো। তাঁদের মতে, এর সর্বাধিক সাফল্যের জন্য আরো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তার মধ্যে আছে, হাসপাতালগুলোতে লোকবলের যে সংকট রয়েছে তা দূর করা। চিকিৎসক শুধু নয়, নার্স ও টেকনিশিয়ানের বহু পদ খালি পড়ে আছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে এই সেবার সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে রোগ নির্ণয়কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণের সরবরাহ বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, তাঁরা আশা করছেন এ বছরের মধ্যে সব উপজেলা হাসপাতালে বৈকালিক সেব চালু করা যাবে। আমরা তেমনটাই আশা করি। সে জন্য হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, দেশের সব মানুষের জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটুক।