কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন আইন হয়েছে। মহাসড়কে শ্লথগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিভাইডার বসানো হয়েছে। তার পরও সড়ক দুর্ঘটনা থেমে নেই। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কত পরিবার যে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে নিঃস্ব হয়ে গেছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ইত্যাদি কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। গত শুক্রবার রাজশাহীতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একটি মাইক্রোবাসের চালকসহ আরোহী ১৭ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দেশের চার জেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে আটজনের।
বহু অনিয়ম ঘটে রাস্তায়। যেসব কারণে রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল লেগেই আছে। যাদের এসব নিয়ন্ত্রণ করার কথা তারাও উদাসীন। ফলে এসব দুর্ঘটনাকে অনেকেই দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকাণ্ডই বলে থাকেন। সড়কের এই নিরাপত্তাহীনতা কি চলতেই থাকবে? আমরা কোনো মতেই এমন অনিরাপদ সড়ক চাই না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
চালকদের লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। দক্ষ ও যোগ্য চালক ছাড়া কারো হাতে লাইসেন্স তুলে দেওয়া যাবে না। গাড়ির ফিটনেসের ব্যাপারে কোনো আপস করা যাবে না। সড়কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। অনিয়মকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দুর্ঘটনা নামের হত্যাকাণ্ড রোধে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।