করোনাকালেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ও শনিবার পাবনায় নছিমনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ভাই-বোনসহ তিনজনের। আর যশোরের মণিরামপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহত হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্র। এ ছাড়া নওগাঁর ধামইরহাট, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে আরো তিনজন।
সাধারণ ছুটি বা লকডাউনে দেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। ৯০ শতাংশ যাত্রীর যাতায়াত বন্ধ থাকলেও সেই তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। কেন?
করোনাকালে লকডাউন চলাকালে কেন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যাবে? ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা এবং শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। এসবের সঙ্গে রয়েছে বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল।
আমরা মনে করি, এখন ব্যক্তিগত যানবাহনের চালকদেরও প্রশিক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার সময় এসেছে। বহু অনিয়ম ঘটে রাস্তায়। সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সড়কের এই নিরাপত্তাহীনতা কি চলতেই থাকবে? আমরা কোনো মতেই এমন অনিরাপদ সড়ক চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আমরা মনে করি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। গণপরিবহনকে বিকশিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।