তারা বলেছে, ক. আগামী ৫০ বা ১০০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এই এলাকায় কেমন হতে পারে, তা পর্যালোচনা করা; খ. রেলপথের উচ্চতা আরো বাড়ানো দরকার কি না ভেবে দেখতে হবে এবং গ. রেলপথ রক্ষায় সাঙ্গু নদীতে বাঁধ দেওয়া প্রয়োজন কি না, তা-ও ভেবে দেখতে হবে।
দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এত বিপুল রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের সর্বোত্তম উপযোগিতা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। ১০০ কিলোমিটার রেলপথের আর কোথাও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি, কিন্তু এখানে অর্ধকিলোমিটার ধসে যাওয়ার কারণ কী, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। অনেকেই বলছে, এখানে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
যদি তা-ই হয়, তাহলে পর্যাপ্ত সেতু নির্মাণ করে এ সমস্যা দূর করতে হবে। এরপর এই রেলপথ রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত নেওয়া হবে। আমদানি-রপ্তানিসহ অনেক কাজেই এই রেলপথ ব্যবহৃত হবে। তাই এই রেলপথ নির্মাণে সর্বোচ্চ কারিগরি দক্ষতা নিয়োগ করা প্রয়োজন।
আমরা মনে করি, এডিবি যে পরামর্শগুলো দিয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। এগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি টেকনিক্যাল কমিটি কিংবা পরামর্শক কমিটির মতামত নিতে হবে।
এতে যদি নির্মাণকাজ শেষ হতে আরো কয়েক মাস সময় লাগে, তা-ও দিতে হবে। কোনো ক্রমেই এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প দুর্বলতা রেখে সম্পন্ন করা উচিত হবে না।