এতে লাভবান হচ্ছে ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো। আর স্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
এদিকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার পোশাক শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছে ৫৮ কোটি মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৯ কোটি ডলার বা ৩৩ শতাংশ।
ঋণপত্র নিষ্পত্তির হারও কমেছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার কমেছে ১৯ শতাংশ। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ার অর্থ হলো বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হওয়া। অর্থনীতিতে এর দীর্ঘকালীন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আমরা মনে করি, যেকোনো মূল্যে শিল্প খাতে উৎপাদন ও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিল্প বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।