English

20 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
- Advertisement -

সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করুন: সংকটে পোশাকশিল্প

- Advertisements -
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শ্রম অসন্তোষ, ডলার সংকট, ঋণপত্র খোলার হার কমে যাওয়া, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ আরো অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করছে দেশের প্রধান রপ্তানি খাতটি। দাবিদাওয়া নিয়ে পোশাক শ্রমিকরা নিয়মিত মাঠে নামছেন।
কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু কারণে উৎপাদনও কমছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তা ও পরিবহন সংকটের কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারণে রপ্তানিকারকরাও ক্রমে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে ক্রয়াদেশ অন্যত্র সরে যাচ্ছে।
এতে লাভবান হচ্ছে ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো। আর স্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
পোশাকশিল্প সম্প্রসারণের সেই ধারা টিকিয়ে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে বর্তমানে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ গত এক বছরে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার ও টেক্সটাইল শিল্পের ১৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে ৭৬টি, নিট খাতে ৫০টি এবং টেক্সটাইল খাতের ১৪টি কারখানা রয়েছে। এ সময়ে মোট ৯৪ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন বলে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। অনেক কারখানা শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না।
এদিকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার পোশাক শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী,  চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছে ৫৮ কোটি মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৯ কোটি ডলার বা ৩৩ শতাংশ।
ঋণপত্র নিষ্পত্তির হারও কমেছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার কমেছে ১৯ শতাংশ। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ার অর্থ হলো বিনিয়োগ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হওয়া। অর্থনীতিতে এর দীর্ঘকালীন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আমরা মনে করি, যেকোনো মূল্যে শিল্প খাতে উৎপাদন ও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিল্প বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন